স্বদেশ ডেস্ক:
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আঘাতজনিত কারণেই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘তিন কিশোরের মরদেহের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মূলত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মম পিটুনিতে তিন কিশোর নিহত হয়। আহত হয় ১৫ জন।
প্রথম দিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শিশু-কিশোরদের দুই পক্ষের মারামারি বলে প্রচার করে। কিন্তু পরে তদন্তে উঠে আসতে থাকে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের নির্দেশে পিটুনিতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল সুজন (১৮) ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার তালিপপুর পূর্বপাড়ার নানু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭) নিহত হয়।
এ ব্যাপারে নিহত রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই পাঁচ কর্মকর্তাকেই সমাজসেবা অধিদফতর সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
এদিকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদ গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় ওই পদে সমাজসেবা অধিদফতরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি সেখানে যোগদান করেছেন বলে যশোর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।